ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ: মোদি
প্রকাশিত : ২১:৪১, ২৫ মে ২০১৮ | আপডেট: ২১:৪৬, ২৫ মে ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশ দুটি আলাদা দেশ হলেও পারস্পরিক সহযোগিতা এই দুই দেশকে জুড়ে দিয়েছে মৈত্রীর বন্ধনে। আর তারই উদাহরণ হলো বাংলাদেশ ভবন। তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের পরিপূরক। এটি একটি দুর্লভ ঘটনা যেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী অংশ নিয়েছেন।
বিশ্বভারতীতে দীর্ঘ ৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হলো সমাবর্তন উৎসব। এই প্রথম বিশ্বভারতীতে আসলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বিশ্বভারতীর আচার্য। এই অনুষ্ঠানে বক্তব্যে দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘আমি অতিথি হিসেবে এখানে আসিনি। আমি এসেছি আচার্য হিসেবে। রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনে এসে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। গোটা বিশ্বে রবীন্দ্রনাথ নন্দিত। তিনিই প্রথম বিশ্বনাগরিক। এখনো তিনি বিশ্বনাগরিক হিসেবে রয়ে গেছেন। রবীন্দ্রনাথ গোটা বিশ্বকে আপন করে নিয়েছিলেন। আর তার সেই বিশ্ব ভাবনার ফসল হলো বিশ্বভারতী। মোদি তার ভাষণ শুরু করেছিলেন বাংলায়।
সমাবর্তন উৎসব শেষে শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলে আসেন বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের জন্য। বিশ্বভারতীর পূর্বপল্লীতে বাংলাদেশের অর্থে নির্মিত হয়েছে এই বাংলাদেশ ভবন।
সেখানে এসে নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করার সৌভাগ্য হলো। খুব গর্ব অনুভব করলাম। শেখ হাসিনা সময় দেওয়ায় আমার আন্তরিক অভিনন্দন। বাংলাদেশ ভবন ভারত-বাংলাদেশের সংস্কৃতি বন্ধনের প্রতীক। গুরুদেবের গান আজ আমাদের দুই দেশের জাতীয় সংগীত। গুরুদেব আমারও প্রেরণা। আমাদের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সাম্প্রতিককালে আমাদের দুই দেশের মধ্যে চলছে এক সোনালি অধ্যায়। দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ বেড়েছে। কলকাতা-খুলনা বন্ধন ট্রেন চালু হয়েছে। ভারত বাংলাদেশ বন্ধুত্ব চিরজীবী হোক।
এসি
আরও পড়ুন